মেহেদি হাসান,
একটি গ্রামে কয়েকজন মোড়ল ছিল, তাদের মধ্যে দুজনের গলায় গলায় ভাবও ছিল। কোনো এক যুদ্ধের মধ্যে এদের দুজনের অবৈধ সম্পর্কের কুফল হিসেবে ইসরাইল নামের এক নাদুসনুদুস মেধাবী সন্তানের জন্ম হয়, সাথে সাথে তার মা-ও মারা যায়। সাধারণত অবৈধ সন্তানকে কেউ স্বীকৃতি দিতে চায় না। সন্তানটি অসম্ভব মেধাবী হলে যা হয়, এখন উভয়ের তার জনক হতে চায়। কিন্তু ঘটনাক্রমে ওই দুই ব্যাক্তির ডিএনএ সিকিউয়েন্স ছিল একই ধরনের। একারনে দু’জনেই জনক হিসেবে সমঝোতা করে নেয়, যেহেতু দুজনেই পিতা হবার কারনে তাকে তো কেউ এককভাবে কাছে রাখতে পারবেনা। তাই তারা তাদের বুদ্ধিমান সন্তানকে তাদের বাপদাদার শত্রুদের মধ্যে একটি এলাকায় ঘর বানিয়ে দেয়। কারন সে যেহেতু বুদ্ধিমান তাই একদিন এই জমি দখলে নিতে পারবে।
কিন্তু সমস্যা বাদে সমাজের মানুষদের নিয়ে, এই সমাজতো স্বীকৃতি দিবেনা। আবার সে সমাজে তাদের শত্রুদের সন্তানেরাও থাকে, তাহলে সুরহা কী? হ্যাঁ জোরকরে স্বীকৃতি আদায় করতে হবে। যেই কথা সেই কাজ; ওদের মধ্যে গ্রুপ-প্রীতি উসকে দাও। শিয়া, সুন্নি আর যারা বেশি ধর্মের ব্যাপারে কট্টর- ওদের ব্যাপারে মৌলবাদী পজিটিভ তকমাকে মিডিয়ার মাধ্যমে নেগেটিভ ভাবে প্রচার কর। এরই ফাঁকে শত্রু মুসলমান সমাজে কিছু কুলাঙ্গার ও অবৈধ সন্তানের জন্ম হলো। আর অবৈধ সন্তানরা অবৈধদের প্রতি মায়া রাখে স্বাভাবিকভাবেই। এরই মধ্যে অনেক কুলাঙ্গার স্বীকৃতি দেয়। যাদের স্বীকৃতি আদায় করতে পারলো না তাদেরকে সন্ত্রাসী বলে একঘরে করা হলো। বলা হলো স্বীকৃতি দাও- সন্ত্রাসী তকমা উঠিয়ে নেব আর যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেজন্য টাকা দেবে তোমাদেরই বে.. জাতি ভাই (সালমান)। আর এভাবেই অবৈধকে বৈধ করার অনিশ্চিত স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে চলছে তারা। তারা জানেনা এর মাধ্যমে একদিন তারা মহাপ্রলয় ডেকে আনবে। আর সত্যের পথে যারা থাকবে তাদেরকেই আল্লাহ বিজয় দান করবেন।
লেখক: সবেক শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।