রাজধানীর কদমতলীতে সাবরিনা (১১) নামে এক শিশু বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ হয়ে আইসিইউতে আছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে বাসার ছাদে কাপড় নাড়তে গেলে ছাদের পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের হাই-ভোল্টেজের তারের সাথে লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপরই শিশুটিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসা হয়। শিশুটির অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন, বিদুৎপৃষ্টে সাবরিনার শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। বৃহস্পতিবার (১৬,জুলাই) বিকাল তিন টার দিকে, দক্ষিণ ধনিয়া, রহিম সাহেবের বাসার ৩য় তলার ছাদে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। স্বজনদের অভিযোগ বাড়ির মালিক আব্দুর রহিম সাহেবের অবহেলার কারনেই ঘটনাটি ঘটেছে । ঢামেকের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটি দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটির বাবা শাহআলম বলেন, তারা ঐ তৃত্বীয় তলা ভবনের নিচ তালায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আমার ছোট মেয়ে সাবরিনা কাপড় নাড়তে ছাদে যায় । সেসময় ভবনের পাশ দিয়ে যাওয়া হাই ভোল্টেজের তারের সাথে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে দগ্ধ হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে । পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভবনের পাশ দিয়ে যাওয়া, হাই ভোল্টের বৈদ্যুতিক তার গুলির পাশে নিরাপত্তা বেষ্টুনি দেয়ার জন্য বাড়ির মালিককে, একাধিক বার বলার পরও, তিনি কোন ব্যাবস্থা নেননি। কয়েক মাস আগেও এই ভবনে এ রকম আরো একটি ঘটনা ঘটেছিল। এক শ্রমিক বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মারা গিয়েছিল। তখন এলাকাবাসীও বাড়ির মালিক কে নিরাপত্তার ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য
বলেছিলেন। তিনি বলেন, আজ যদি তিনি সেখানে কোন ব্যাবস্থা নিতেন, তাহলে, আমার মেয়ে এই দূর্ঘটনার (দগ্ধ) শিকার হতো না। আমি এর বিচার দাবি করছি।বাড়ির মালিক আব্দুর রহিম ঘটনাটি স্বীকার করলেও তাদের দেয়া অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এটা তাদের অসাবধানতার কারনে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে শিশুটি। এর আগেও বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তখন রংয়ের কাজ করার সময় এক শ্রমিক মারা গেছেন। সাবরিনা স্থানীয় রেনেসা আইডিয়াল স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। তিন বোনের মধ্যে সে ছোট। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষিপুর জেলার বাংলর উপজেলার পশ্চিম শেখপুরে।